Wednesday, July 8, 2015

‘''দ্বিধা’''

‘দ্বিধা’

দ্বিধা মানুষের একটি স্বাভাবিক অনুভূতি,তবে সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকে অন্য সব অনুভূতির মতো ততোক্ষণ ভালো; আর এটা যখন অস্বাভাবিক হতে শুরু করে জীবনের অগ্রগতির পথ হতে থাকে বাঁধা প্রাপ্ত। আমরা হয়ে পড়ি অস্থির।
মানুষ মাত্রই বিভিন্ন সময়ে নানা রকম দ্বীধার সম্মুখীন হই আমারা। কখনো দ্বীধা কাটীয়ে উঠে সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয় না খুব একটা। কখনো দ্বীধার কারণে সিদ্ধান্ত হীনতায় অনেকটা মূল্যনাব সময় চলে যায় আমাদের জীবনের সীমানার বাইরে। আবার এমন হয় সিদ্ধান্তই নেয়া হয় না, কি হবে? কি হতে পারে? যদি ভুল হয়? এসব প্রশ্নের অত্যাচারে শুধু জর্জরিত হয় জীবন।
জীবন মানেই নানা অনুভূতির সমন্বয়। প্রশ্নের কারবার এবং উত্তর খোঁজার আকাঙ্ক্ষা। এই সব কিছুর মধ্যে থেকে যখনই আমারা প্রশ্নে এসে ঠেকে যাই, উত্তর আসে অনেক গুলো কিংম্বা না বোধক, আর আমারা হয় উঠি ভীত দ্বিধাগ্রস্থ।
এইসব দ্বীধার দেয়াল অনেকের মাঝে এতোটাই বড় হয়ে ওঠে যে চলতে ফিরতে উঠতে বসতে সবকিছুতেই তারা থাকে দিধাম্বিত। দ্বীধা মানুষকে প্রচণ্ড রকম অস্থির করে রাখে।আর একজন দ্বীধাম্বিত মানুষ হয়  অস্থির স্বত্বার দাস এবং ধীরে ধীরে তারা হয়ে পরে ঘরকুনো, আত্মকেন্দ্রিক, আত্মবিশ্বাসহীন এবং অন্যের জন্য বিপদ জনক। বেশীরভাগ সময় এই সব দ্বিধাম্বিত মানুষ অনেক ভাবনা চিন্তার পর যে সিদ্ধান্তে আসে দেখা যায় তার বেশির ভাগটাই হয়ে যায় ভুল। তার কারণ প্রচণ্ড অস্থিরতায় আর যাই হোক গুছিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভবপর হয় না।
একজন সাধারন মানুষের জন্য দ্বিধা আসে এবং সময়ের হাতধরে চলেও যায় অনেকটা গা ঝাড়া দিয়ে। কিন্তু যারা দ্বীধার দাসে পরিণত হয়ে গেছে তাদের জন্য এটা অনেকটা অসুখের মতো। যা আমারা দ্বিধাম্বিত মানুষ সচেতন ভাবে বুঝতে পারি না এবং কেউ ধরিয়ে দিলেও মেনে নিতে পারি না যে, সে একজন দুর্বল চিত্তের দ্বিধাম্বিত অস্থির প্রকৃতির মানুষ।
আপনি দিধাম্বিত মানুষ কি না তা নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন
১।  মনোযোগে অসুবিধা,
২। অত্যন্ত মেজাজ খারাপ থাকা,
৩। খুব বেশী ঘুম হওয়া বা যথেষ্ট ঘুম না হওয়া,
৪। সব সময় উদ্ববিগ্ন থাকা,
৫। পরিবার কিংম্বা বন্ধুদের থেকে দূরত্ব বারানোর চেষ্টা,
৬। অস্বাভাবিক চিন্তা,
৭। বিভ্রম,
৮। বিশৃঙ্খল বক্তৃতা সুইচিং বিষয়,
৯। বিষণ্নতা,
১০। উদ্বেগ ও
১১। আত্মঘাতী চিন্তা বা কর্ম।
দেখুন এর অনেকটাই আপনার মধ্যে বিদ্যমান আছে কি না?

*** এবার আসি আপনার মনের মাঝে দ্বিধার বাড়িটি কি ভাবে গোড়ে উঠলো তার কারণ অন্বেষনে। নিচে কিছু সাধারন কারণ দেখানো হলো।
১। অস্থির পারিবারিক পরিবেশ,
২। প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির বোধের পর থেকেই অপ্রাপ্তির ঝুলি ভরতে থাকা,
৩। নিজের চেহারা নিয়ে হিন্যমনতা,
৪। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে দীর্ঘ মেয়াদি বন্ধুত্বের অভাব,
৫। পরিবার থেকে খুব বেশি শারীরিক নির্যাতন,
৬। সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ হতে নিগৃহীত,
৭। অতান্ত নতুনত্ব প্রিয়তা এবং
৮। নিজের সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা না থাকা।

পরিশেষে শুধু এটূকুই বলতে চাই। দ্বিধা শুধু আপনাকেই অস্থির করে তোলে না। অস্থির করে তোলে আপনদের খুব কাছেরে মানুষদের কেউ। তাই দ্বিধার বাড়ি ভেঙ্গে মনের মাঝে গড়ে তুলুন আত্মবিশ্বাসের বাড়ি। 

****লেখক:- অপরাজিতা অভিমানী নির্বাসিতা****

2 comments:

  1. This is really a helpfull post for live life.

    ReplyDelete
  2. Well said...
    Most of the reason are correct.
    Thnx for your awesome post..

    ReplyDelete